উচ্চ মাধ্যমিকের (এইচএসসি) বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক প্রশ্নের ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, এরপর থেকে প্রশ্নকর্তা ও মডারেটর নিয়োগে আরও সতর্ক হতে হবে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে ‘৭১ এ গণহত্যার জাতিসংঘের স্বীকৃতি চাই’ আলোচনা সভায় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা কাদের প্রশ্নকর্তা ও মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব দিচ্ছি, সেটা দেওয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। সব বোর্ডগুলোকে আরও সতর্ক হতে হবে। আমাদের সিস্টেমে সেটা আরও ভালো করতে হবে।
এবারের এইচএসসির বাংলা বিষয়ের প্রশ্ন নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছে তা আমরা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি। এই বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রশ্ন সেট করেছেন কারা, প্রশ্ন মডারেট করেছেন কারা সেগুলো সেটা করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের তদন্ত চলছে। এটা দেখা অবশ্যই দরকার। কারণ এটা কী অবহেলাজনিত না এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। আমাদের সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে। যদি অবহেলা থাকে কিংবা ইচ্ছাকৃত হয় দুটির কোনোটিই ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
ভবিষ্যতে এমন যেন কিছু না হয় সেই বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন প্রশ্নের পুরো প্রক্রিয়া যেভাবে সেট হয় তা হচ্ছে প্রশ্ন একজন সেট করেন; আর একজন মডারেট করেন। এরপর কিন্তু পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত এটা আর কারও দেখবার সুযোগ থাকে না।
তিনি বলেন, আমাদের প্রশ্নকর্তা ও প্রশ্ন মডারেট যারা করেন তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। নির্দেশিকা দেওয়া হয়। তারপরেও কেউ যদি এটা করেন সেটা চরম অবহেলা অথবা ইচ্ছাকৃত।
তদন্ত রিপোর্ট আসার সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নেবো তাদের কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা নির্ভর করবে। তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।