না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৩ বছর।
সোমবার (২৪ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কথাসাহিত্যিক স্বকৃত নোমান।
গেল কয়েক মাস ধরে তিনি শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং ভেন্টিলেশন সাপোর্টে (লাইফ সাপোর্ট) রাখা হয়েছিল।
২০১৮ সাল থেকে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
বহু কাব্যগন্থ ও উপন্যাসের রচয়িতা হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
তার কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘দাও বৃক্ষ দাও দিন’, ‘মোমশিল্পের ক্ষয়ক্ষতি’, ‘হাওয়া কলে জোড়াগাড়ি’, ‘নোনা জলে বুনো সংসার’, ‘স্বপ্নহীনতার পক্ষে’, ‘আমার একজনই বন্ধু’, ‘পোশাক বদলের পালা’, ‘প্রেমের কবিতা’, ‘কৃষ্ণ কৃপাণ ও অন্যান্য কবিতা’, ‘সিংহদরজা’, ‘বেদনার চল্লিশ আঙুল’, ‘ম্লান, ম্রিয়মাণ নয়’, ‘বিপ্লব বসত করে ঘরে’, ‘ছিন্নভিন্ন অপরাহ্ণ’, ‘জয় বাংলা বলো রে ভাই’, ‘সারিবদ্ধ জ্যোৎস্না’, ‘সুগন্ধ ময়ূর লো’, ‘নির্বাচিত কবিতা’, ‘মুখোমুখি: তুচ্ছ’, ‘স্বনির্বাচিত প্রেমের কবিতা’, ‘হ্রী’, ‘কতো আছে জলছত্র’, ‘কতোদূর চেরাপুঞ্জি’, ‘কাদামাখা পা’, ‘ভুলের কোনো শুদ্ধ বানান নেই’, ‘একা ও করুণা’, ‘যমজ প্রণালী’, ‘আমার জ্যামিতি’, ‘পশ্চিমের গুপ্তচর’ ও ‘কবিতাসমগ্র’।
তার উপন্যাসগুলো হচেছ – ‘কৃষ্ণপক্ষে অগ্নিকাণ্ড’, ‘পরাজয়’, অনুবাদ ‘মৌলানার মন: রুমীর কবিতা’, আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘আমার কুমার’, গদ্যগ্রন্থ ‘দ্বিতীয় পাঠ’, ‘মিশ্রমিল’, ‘গদ্যের গন্ধগোকুল’, শিশুসাহিত্য ‘ইল্লিবিল্লি’, ‘নাইপাই’, ‘রাজা হটপট’, ‘ফুঁ’, ‘ফুড়ুত্’, ‘মেঘভ্রমণ’, ‘ছয় লাইনের ভূত’ ও ‘ছড়াপদ্য’।
হাবীবুল্লাহ সিরাজী ১৯৯১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ২০০৭ সালে বিষ্ণু দে পুরস্কার, ২০১০ সালে রূপসী বাংলা পুরস্কার এবং কবিতালাপ সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৬ সালে একুশে পদকসহ দেশি-বিদেশি নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।