লেবাননের রাজধানী বৈরুতে দুটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে আরো দুই বাংলাদেশির নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে চার বাংলাদেশি নিহত হলেন।
নিহত চারজন হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেহেদি হাসান, রাসেল মিয়া, মাদারীপুরের মিজানুর রহমান এবং কুমিল্লার রেজাউল।
বৈরুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আরো কোনো বাংলাদেশি হতাহত হওয়ার খবর জানতে পারলে তা হটলাইন নম্বর জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। বৈরুতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আল মোস্তাহিদুর রহমান এক ভিডিও বার্তায় প্রথমে দুজন নিহতের কথা জানিয়েছিলেন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা যান।
প্রথম ভিডিও বার্তায় বলেন, লেবাননে প্রায় দেড় লাখের মতো বাংলাদেশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশায় কর্মরত আছেন। এখন পর্যন্ত দুজন বাংলাদেশি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় ৮০ জন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আটজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিক যোগযোগ রাখা হচ্ছে এবং সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, বৈরুতের যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেখান থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন বাহিনীতে (ইউনিফিল) কর্মরত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ছিলো। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বিজয়’-এর ক্যাপ্টেনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, বিস্ফোরণে জাহাজের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং জাহাজে থাকা সদস্যদের মধ্যে ২১ জন বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুজনের এক জনের অবস্থা ভালো হওয়ায় হাসপাতাল থেকে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে এবং অন্যজন এখনো চিকিৎসাধীন আছেন।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতে একটি গুদামে সংরক্ষিত ২৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০০ জন নিহত ও চার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।