ক্রিকেটার নাসিরের বিয়ের পর থেকেই নতুন বউকে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। জাতীয় দলের অলরাউন্ডার নাসির হোসেন এর আগে একাধিক সংবাদ সম্মেলন সামলে নিলেও প্রথমবার এমন কিছুর অভিজ্ঞতা হলো। বনানীর এক রেস্তোরাঁয় যখন সংবাদ সম্মেলন করছিলেন, তাকে লাগছিল বিধ্বস্ত। স্ত্রী তামিমা সুলতানার মধ্যেও ছিল জড়তা।
নিজের বিয়ের সপ্তাহ পার না হতেই তারা দুইজন এখন খবরের শিরোনাম। অভিযোগ উঠেছে, নাসিরের স্ত্রী তামিমা তার সাবেক স্বামী রাকিব হাসানকে ডিভোর্স না দিয়েই নাসিরকে বিয়ে করেছেন। নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতেই তারা দুইজন সংবাদ সম্মেলন করেন বুধবার সন্ধ্যার পর।
গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে উঠে আসে নানা বিষয়গুলোকে মিথ্যা বলে দাবি করলেন নাসির, ‘আমি তামিমাকে চিনি চার থেকে সাড়ে চার বছর ধরে। সে আমার খুব ভালো একজন বন্ধু ছিল। তারপর আমাদের প্রেম এবং বিয়ে করি। আমরা আইনগতভাবে ইসলামী শরিয়াহ মেনে সবাইকে জানিয়ে বিয়ে করেছি। আমাদের মনে যদি কিছু থাকতো, এভাবে ধুমধাম করে বিয়ে করতাম না। আমরা সবাইকে জানিয়ে ধুমধাম করে বিয়ে করেছি। তামিমার আগে বিয়ে হয়েছিল, বাচ্চা আছে, ডিভোর্স হয়েছে। সব জেনেই তাকে বিয়ে করেছি। ডিভোর্স পেপার দেখেই বিয়ে করেছি।’
প্রেমিকা তামিমাকে জীবনসঙ্গী করেন ক্রিকেটার নাসির। কিন্তু সেখানেও ফুরসত মিললো না। আগের স্বামীকে তালাক না দিয়ে ফের বিয়ে করেছেন, এমন অভিযোগ উঠেছে নাসিরের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালত বুধবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিষয়ে নাসির কিছু জানেন না বলে দাবি করছেন। তবে স্ত্রীকে নিয়ে তার ভাষ্য, ‘হ্যাঁ, ও ছোটবেলায় ভালোবেসেছিল, তাকে বিয়ে করেছিল, এটা করতেই পারে। তো এখন তার কি সুখে থাকার অধিকার নেই? অবশ্যই আছে। আমিতো ওকে খুব ভালোভাবেই চিনি। আমি সব জেনেই ওকে গ্রহণ করছি।’
নাসির আরো বলেন, ‘রাকিব সাহেব যেসব কথা বলেছেন সেসব ঠিক না। আগে তামিমা উনার ছিল, এখন তামিমা আমার। আমার স্ত্রীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করলে কাউকেই ছাড় দিবো না এবং সেটা আইনের মাধ্যমেই হবে।’
ভালোবাসা দিবসে (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিয়ের পিঁড়িতে বসেন নাসির। রাজধানীর উত্তরায় বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা সারেন তিনি। ফেসবুকে খবরটি নিশ্চিত করে নাসির লিখেছিলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের নতুন যাত্রার জন্য প্রার্থনা করুন!’ নাসিরের স্ত্রী তামিমা বিমানের কেবিন ক্রু। কাজ করেন সৌদি এয়ারলাইনসে।