‘সবুজ পাতার খামের ভেতর
হলুদ গাঁদা চিঠি লেখে
কোন পাথারের ওপার থেকে
আনল ডেকে হেমন্তকে?’
কবি সুফিয়া কামাল তাঁর কবিতায় এভাবেই স্বাগত জানান হেমন্তকে। বাংলা ভাষার কবিদের কাছে হেমন্ত যেন সৃষ্টির মাহেন্দ্রক্ষণ। ঋতু বৈচিত্রের দেশ বাংলাদেশে হেমন্ত মানেই চারপাশে সোনালী পাকা ধানের মৌ, মৌ গন্ধ, শিশির ভেজা ঘাসের ডগায় মুক্তোর মেলা। মিষ্টি রোদের আদর আর জ্যোৎস্না ভরা আলোকিত রাত।
হিমেল হাওয়া জানান দেয় শীতের আগমনী বার্তা। পুরো প্রকৃতি যেন উৎসবে মেতে উঠে।
পাশ্চাত্যে হেমন্তকে বলা হয় ‘ফল’ [ Fall ] যার অর্থ পতন বা পড়া। যখন ঝাউ গাছগুলো ছাড়া সব গাছেরই পাতা ঝরে যেতে থাকে। ক্ষণস্থায়ী বৈচিত্র্যময় এই ঋতুতে গাছে গাছে আগুন লাগে। যে আগুন রঙের আগুন। হলুদ, লাল, খয়েরী চোখ ধাঁধানো বর্ণীল সেই সব রঙ। প্রকৃতির এই ঐশ্বরিক সৌন্দর্য দেখতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে দর্শণার্থীরা। সেই সৌন্দর্যের স্নিগ্ধতার আবেশ মানুষের মনে শিহরণ তোলে। ক্ষণস্থায়ী হলেও পুরো প্রকৃতি অপার্থিবভাবে রঙিন হয়ে উঠে। সারা বিশ্বেই হেমন্ত নিয়ে আসে শীতের আগমনী বার্তা। না গরম না ঠান্ডা প্রকৃতি জুড়ে বিরাজ করে এক ধরনের প্রশান্তি। ভৌগোলিক স্থান ভেদেও সবার মনে বাজে একই সুর।
Fall, leaves, fall; die, Flowers awaz;
Lengthen night and shorten daz;
Everz leaf speaks bliss to me Fluttering from the Autumn tree.
I shall smile when wreaths of snow
blossom where the rose should grow;
I shall sing when nights decaz
Ushers in a dreamier daz. Emilz Bronte ‘Fall, leaves, fall’ কবিতায় হেমন্ত এভাবেই ধরা দেয়। সম্পর্কের এবারের আয়োজন কানাডার হেমন্ত ঋতু কে ঘিরে।
শুভেচ্ছা
সোনিয়া হক