হাইকোর্টের এই বেঞ্চ বলেছে, যতদিন এই গোটা বিষয়টি আইন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, ততদিনের জন্য ধর্মীয় পোশাক পরা থেকে শিক্ষার্থীদের বিরত থাকতে হবে। এই ইস্যুতে আগামী সোমবার দুপুরে পুনরায় শুনানি হবে।
গত বছরের ডিসেম্বরে হিজাব পরিহিত কয়েক জন মুসলিম শিক্ষার্থীকে কর্ণাটকের উদুপির একটি সরকারি কলেজে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে একাধিক কলেজে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গত কয়েকদিনে সেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার সকালেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উদুপির মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল কলেজ। গেরুয়া স্কার্ফ ও পাগড়ি পরে কলেজের বাইরে জড়ো হন একদল শিক্ষার্থী। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে থাকেন তারা। এর বিপরীতে ‘ন্যায় বিচার’-এর স্লোগান দেন হিজাব পরিহিত ছাত্রীরা। হিজাব পরা ছাত্রীদের দাবি, অধ্যক্ষ ক্লাসে ঢুকতে দেননি। একাধিক কলেজে এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে ‘শান্তি ও সম্প্রীতি’ বজায় রাখতে তিন দিন সব স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একাধিক রিট করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার এসব রিটের শুনানিতে হাইকোর্টের একক বেঞ্চ জানায়, যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, সেগুলোর ব্যাপকতার পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যাপারে বৃহত্তর কোনো বেঞ্চ গঠন করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়।