একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক আর নেই (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন নিজ বাসায় মারা যান তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন খ্যাতিমান এ কথাসাহিত্যিক।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মলয় ভৌমিক ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক শাহ আজম শান্তনু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ মিনারে নেওয়া হবে হাসান আজিজুল হকের মরদেহ। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মোহাম্মদ দোয়া বখশ্ এবং মা জোহরা খাতুন। জীবনের অধিকাংশ সময় রাজশাহীতে কাটিয়েছেন হাসান আজিজুল হক। ১৯৫৪ সালে যবগ্রাম মহারানী কাশীশ্বরী উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৫৬ সালের খুলনার ব্রজলাল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। যৌবনে ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। রাজনীতি করার কারণে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতন ভোগ করেন। ১৯৫৮ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে দর্শনে সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন হাসান আজিজুল হক। ১৯৬০ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
হাসান আজিজুল হক ১৯৬০ থেকে ১৯৭৩ পর্যন্ত রাজশাহী সিটি কলেজ, সিরাজগঞ্জ কলেজ, খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ এবং সরকারি ব্রজলাল কলেজ অধ্যাপনা করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অধ্যাপনা করেন।
২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদের জন্য মনোনীত হন এবং দায়িত্ব পালন করেন এ খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক। ২০১৪ সালের আগস্টে তিনি বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের সভাপতি নির্বাচিত হন।